বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম, সুবিধা অসুবিধা ও ক্যাশ আউট চার্জ

তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

আসসালামু আলাইকুম আপনি কি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন? যদি চেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম, সুবিধা অসুবিধা ও ক্যাশ আউট চার্জ

আজকের পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জসহ এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। মনে রাখবেন আমরা আপনাকে এমন ভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করা শিখিয়ে দেবো এভাবে আপনি ঘরে বসেই আপনার একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

এমনকি এই ভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য খুব সহজেই ঘরে বসে আবেদন করবেন এবং ইনস্ট্যান্ট আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট রেডি হয়ে যাবে। তাহলে চলুন এখন আমরা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?

বিকাশের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট সেবা রয়েছে। তারই মধ্যে একটি একাউন্ট এর নাম হচ্ছে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। আর এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট মূলত তাদের প্রয়োজন হয় যারা ব্যবসার সাথে জড়িত। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেমেন্ট গুলো বিকাশের মাধ্যমে গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থাকা জরুরি। 

এই বিকাশ মার্সেন্ট একাউন্ট থাকলে লোকজনের আপনার ব্যবসার প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়ে যাবে। বাংলাদেশের মধ্যে বিকাশের যত গ্রাহক আছে তারা চাইলে খুব সহজেই আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আপনার এই মার্চেন্ট একাউন্ট এ টাকা পাঠিয়ে তাদের সেবা গ্রহণ করতে পারবে। তাই আমরা বলতে পারি ব্যবসায়িক কাজের সাথে জড়িত যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট তাই মূলত বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

তো বন্ধুরা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট যদি আপনি সঠিকভাবে ঘরে বসে খুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবে জানতে হবে। এখানে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে কোন কোন কাগজপত্র লাগবে সেগুলো সম্পর্কেও যথেষ্ট ধারণা দেওয়া হবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে?

যেহেতু একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এই কারণে এখানে বেশ কিছু ডকুমেন্ট এবং তথ্য প্রয়োজন হবে যেগুলো আপনাকে অবশ্যই বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

✓ প্রথমে আপনার একটি দোকান লাগবে এবং সেই দোকানের অরিজিনাল নাম এ একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। 

✓ একটি বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে যেটা অবশ্যই বৈধ হতে হবে। আর আপনার এই জাতীয় পত্র দিয়ে অন্য বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট খোলা থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। 

✓ আপনার একটি বৈধ সিম কার্ড থাকতে হবে এবং যেই সিম কার্ডটি আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়েই খোলা হয়েছে। এই সিম কার্ড টির মধ্যেই মূলত আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলা হবে এই কারণে আপনার নিজের সিম কার্ড কিনা সেটার ও বৈধ প্রমাণ থাকতে হবে। 

✓ সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে এই বিকাশ মার্সেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য। 

উপরের এই সমস্ত ডকুমেন্ট এবং কাগজপত্রগুলো থাকলেই আপনি একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর জন্য খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন এবং কোন সমস্যা না হলে খুব সহজেই বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট পেয়ে যাবেন।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন এর ধাপ

তো এখন মূলত আমরা প্রধান ধাপে চলে এসেছি যেখানে আপনাদেরকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম শিখিয়ে দেওয়া হবে।  নিচে আপনাদেরকে এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়া হলো। 

ধাপ ০১: প্রথমে আপনাকে উপরে উল্লেখিত যাবতীয় ডকুমেন্টস এবং আপনার ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো আপনার কাছে রাখতে হবে। 

ধাপ ০২: এরপর আমরা একটি বিকাশ এর ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দেব সেই ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। এই ঠিকানায় প্রবেশ করার পর আপনার থেকে এখন যাবতীয় ডকুমেন্টস এবং ইনফরমেশন গুলো চাওয়া হবে। 

বিকাশ ওয়েবসাইট এর ঠিকানা

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম, সুবিধা অসুবিধা ও ক্যাশ আউট চার্জ

✓ এখানে আপনার থেকে প্রথমে আপনার দোকানের নাম জানতে চাওয়া হবে আপনি প্রথম বক্সটিতে আপনার সঠিক দোকানের নামটি বসিয়ে দিবেন। এখানে অবশ্যই আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর মধ্যে যেভাবে দোকানের নাম আছে ঠিক সেভাবেই বসিয়ে দিতে হবে। 

✓ এর পরের বক্সে আপনার নিজের এলাকা নির্বাচন করতে হবে।  এলাকা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে কারণ আপনার দেওয়া ঠিকানায় বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে লোক আসবে আপনাকে ভেরিফিকেশন করার জন্য। 

✓ এরপর আপনি যার সাথে যোগাযোগ করবেন তার নাম্বারটি সুন্দরভাবে পরের বক্সে বসিয়ে দিবেন। 

✓ একটি নাম্বার বসিয়ে দেওয়া হয়ে গেলে এর পরের বক্সে আপনি আপনার নিজের ফোন নাম্বারটি লিখে দিবেন সুন্দরভাবে এবং সঠিকভাবে। এর পাশের বক্সে আপনি ইমেইল ঠিকানা দেওয়ার একটি বক্স পাবেন আপনি চাইলে এখানে আপনার সচল একটি ইমেইল দিতে পারেন আবার এই বক্সটি ফাঁকা রাখলেও কোন ধরনের সমস্যা হবে না। 

✓ নিচে আরও একটি অতিরিক্ত তথ্য জমা দেওয়ার বক্স রয়েছে এখানে চাইলে আপনি অতিরিক্ত কোন তথ্য দিতে পারেন। তবে যদি আপনার কোন অতিরিক্ত আর তথ্য না থাকে তাহলে এই বক্সটি ফাঁকা রেখেই আপনি পরের অপশনে যেতে পারবেন। 

✓ এর পরের বক্সে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র আছে কিনা এটি নির্বাচন করতে বলা হবে এখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলে হ্যাঁ দিবেন আর যদি না থাকে তাহলে "না" দিবেন। 

✓ তারপরের বক্সে আপনার একটি বৈধ ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা সেটা জানতে চাওয়া হবে যদি আপনার ট্রেড লাইসেন্স থাকে তাহলে হ্যাঁ দিবেন আর যদি না থাকে তাহলে "না" দিতে পারেন। তবে হ্যাঁ যদি আপনি এখানে আপনার ট্রেড লাইসেন্স না থাকে এবং "না" সিলেক্ট করেন তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করার সম্ভাবনা কমে যাবে। এই কারণে অবশ্যই mercent account খোলার আগে আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের ব্যবস্থা করবেন। 

✓ বৈধ ট্রেড লাইসেন্স অপশনে হ্যাঁ দেওয়ার পর আপনি তারপরের বক্সের ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বার দিবেন এবং তারপরে এই ট্রেড লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটি সঠিকভাবে বসিয়ে দিবেন। 

✓ ওপরের সমস্ত ধাপ এবং বক্সগুলো পার করে আসার পর আপনার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা সেটা জানতে চাওয়া হবে। এখানে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে হ্যাঁ দিবেন আর যদি নাথাকে তাহলে না সিলেক্ট করবেন। তবে হ্যাঁ যদি আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট না থাকে তাহলেও কিন্তু কোন সমস্যা নেই আপনি মার্চেন্ট একাউন্টে পেয়ে যাবেন। 

✓ সর্বশেষ অপশনে এসে আপনি এখানে আরেকটি বক্স দেখতে পারবেন যেটার নাম হচ্ছে আমি রোবট নই। তো এই বক্স এ চাপ দিলে এটি টিক মার্ক হয়ে যাবে আর যদি টিক মার্ক না হয় তাহলে এখানে কিছু ছবি আসবে এবং নির্দিষ্ট ছবিগুলো সিলেক্ট করতে বলা হবে এগুলো ভালোভাবে সিলেক্ট করে দিলে আপনার এই ধাপ সম্পন্ন হবে। 

ধাপ ০৩: উপরের সমস্ত ধাপ এবং সমস্ত বক্সগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে আপনাকে এখন এখান থেকে জমা দিন বাটনে চেপে দিতে হবে। যখন আপনি জমা দিন বাটনে চাপ দিবেন তখন আপনার সমস্ত ইনফরমেশন গুলো বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে জমা হবে। 

এরপর কিছুদিনের মধ্যেই আপনার সাথে বিকাশ থেকে যোগাযোগ করা হবে এবং আপনার দোকানে এসে ভিজিট করা হবে। তারা দোকানে আসবে এবং আপনার থেকে আরো কিছু ডকুমেন্ট চাইতে পারে সেগুলো আপনি তাদেরকে দিয়ে দিলে তারা পরবর্তীতে আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট একটিভ করে দিবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা অসুবিধা

এখন আমরা পাঠকদের সাথে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করব। এখানে এই বিকাশ একাউন্ট এর অসুবিধা নেই বললেই চলে তবে সুবিধা অনেক পাবেন । তাই চলুন আমরা ধাপে ধাপে এ বিষয়গুলো নিয়ে জেনে আসি। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুবিধা

যদি আপনি একটি পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট দিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করতে চান তাহলে আপনি অনেক সমস্যার মধ্যে পড়বেন। কিন্তু যদি আপনি বিকাশ mercent account ব্যবহার করে আপনার ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন তাহলে অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন যেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো। 

✓ বিকাশ mercent একাউন্ট থাকলে আপনি বিকাশের কিউআর কোড পাবেন যেটা স্ক্যান করে কাস্টমার আপনাকে খুব সহজেই পেমেন্ট করতে পারবে। 

✓ বিকাশ mercent এর জন্য আলাদা একটি অ্যাপ্লিকেশন পাবেন যেখান থেকে আপনার mercent account এর যাবতীয় কার্যক্রম গুলো সম্পাদন করতে পারবেন। 

✓ আপনার ব্যবসায় প্রতি মাসে কত টাকা আসলো এবং কত টাকা রিফান্ড হলো এমনকি আরও অনেক ধরনের তথ্যগুলো বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে দেখতে পারবেন। 

✓ আপনার বিকাশ marcent একাউন্টে যখন গ্রাহকরা টাকা পাঠাবে তখন তাদের কোন ধরনের এক্সট্রা ফি কাটবে না। 

✓ গ্রাহকরা চাইলে *২৪৭# ডায়াল করে আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবে আবার আপনি চাইলে এই একই কোড ডায়াল করে আপনার একাউন্টও ম্যানেজ করতে পারবেন। 

✓ মার্চেন্ট একাউন্ট থাকলে আপনি বিকাশ এর পক্ষ থেকে ফ্রী অটোমেটিক পেমেন্ট গেটওয়ে পাবেন যেটার মাধ্যমে কাস্টমার খুব সহজে অটোমেটিক পেমেন্ট করতে পারবে। 

✓ আপনি আলাদা একটি বিকাশের বিজনেস ড্যাশবোর্ড পাবেন যেখান থেকে আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ম্যানেজ করা সহ আরো অনেক ধরনের এক্সট্রা সুযোগ সুবিধা পাবেন। 

✓ একটি পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট থেকে যেভাবে ক্যাশ আউট করা যায় মোবাইল রিচার্জ করা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের বিল পে করা যায় তার সমস্ত সুযোগ- সুবিধা আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টেও পেয়ে যাবেন।  

✓ পার্সোনাল একাউন্টে চার্জ এবং বিভিন্ন লিমিটেশন রয়েছে কিন্তু আপনার বিকাশ ম্মার্চেন্ট একাউন্ট এর লিমিটেশন অনেক বেশি অর্থাৎ আপনি অনেক বেশি টাকা লেনদেন করতে পারবেন প্রতিদিন এবং প্রতি মাসে। 

✓ কোন কাস্টমার আপনার একাউন্টে টাকা পাঠালে আপনি চাইলে সেই ট্রানজেকশন টি ক্যান্সেল করতে পারবেন তাহলে টাকা আবার সেই কাস্টমারের কাছে ফিরে যাবে। 

✓ বিকাশ mercent account ব্যবহারকারীদের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে ২৪/৭ সাপোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে। 

✓ যখন প্রথম বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলবেন তখন আপনি এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রথম তিন মাস সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত একদম ফ্রিতে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। তবে পরবর্তী ক্যাশ আউট গুলোতে আবার চার্জ কেটে নেওয়া হবে। 

✓ একদম পার্সোনাল একাউন্ট এর মত বিকাশ এজেন্ট এবং অন্যান্য মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা

আপনি একবার ভালোভাবে আপনার ব্যবসার সাথে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট যুক্ত করতে পারলে এখানে কোন অসুবিধাই মনে হবে না। এরপরেও যদি আপনার কাছে অসুবিধা মনে হয় সেটা আপনি চাইলে বিকাশ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন। তবে আমার কাছে যে সমস্ত অসুবিধা মনে হয়েছে সেগুলো নিচে আলোচনা করলাম। 

✓ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে পার্সোনাল একাউন্টে টাকা পাঠাতে গেলে প্রতিবারই ৫ টাকা করে ফি কাটে। অর্থাৎ আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে পার্সোনাল একাউন্টে ১ টাকা পাঠালেও আপনার 5 টাকা ফি কাটবে। 

✓ লিমিটেশন: আপনার বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে আপনি প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। 

✓ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণ এবং ভালোভাবে পরিচালনা করার জন্য সর্বদা ইন্টারনেট এর প্রয়োজন হবে। 

✓ চার্জ কাটা: আপনি যদি আপনার এই মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে কোন লেনদেন করেন তাহলে প্রতিবার এখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিকাশ থেকে কেটে নেওয়া হবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ 

যারা যারা এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত এটা নিয়ে। তো আমরা আপনাদেরকে এখন এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেব। 

মনে রাখবেন বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট যখন আপনি নতুন খুলবেন তখন প্রথম তিন মাস এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি একদম ফ্রিতেই ক্যাশ আউট করে নিতে পারবেন। 

✓ তো বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে যদি আপনি ক্যাশ আউট করেন তাহলে এখানে আপনার ১.৪৯% ফি কাটা হবে। অর্থাৎ যদি আপনি ১০০ টাকা ক্যাশ আউট করেন তাহলে ১.৪৯ টাকা ক্রিকেটে নেওয়া হবে। 

✓ এই ১.৪৯ পার্সেন্ট ক্যাশ আউট ফি তখনই কাটবে যখন আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে বিকাশের এজেন্ট এবং নির্দিষ্ট এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করবেন। 

✓ এখানে বলে রাখা ভালো আপনি বিকাশের এজেন্ট থেকে সর্বনিম্ন এক টাকা এবং এটিএম থেকে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা এবং ব্রাক ব্যাংক থেকে সর্বনিম্ন ২৫০০ টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সেন্ড মানি চার্জ

উপরে আমরা আপনাদেরকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ সম্পর্কে বুঝিয়ে দিয়েছি এখন আমরা আপনাদেরকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সেন্ড মানি চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেবো। 

✓ যদি আপনি আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে কোন পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট এ সেন্ড মানি করতে চান তাহলে এখানে আপনার প্রতিবার সেন্ড মানি করার জন্য ৫ টাকা করে ফি কাটা হবে। সর্বনিম্ন এক টাকা থেকে আপনারা সেন্ড মানি করতে পারবেন এই বিকাশ একাউন্ট এ।

✓ আবার আপনারা যদি একটি মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে আরেকটি মার্চেন্ট একাউন্টে পেমেন্ট করতে চান তাহলে এখানে 0.20% করে চার্জ কাটা হবে।  

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিমিট

বন্ধুরা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেও কিন্তু এখানে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর লিমিট রয়েছে। আর অবশ্যই আপনাদেরকে এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের লিমিট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে না হলে আপনি সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। 

✓ আপনার সাধারণ গ্রাহকের থেকে প্রতি লেনদেন এ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারবেন এই বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে। 

✓ আবার সাধারণ গ্রাহকের থেকে দৈনিক সর্বচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা এবং মাসিক সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা লেনদেন করা যাবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সেন্ড মানি লিমিট

✓ কোন গ্রাহক যদি বিকাশ mercent এ টাকা পাঠাতে চায় তাহলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা সেন্ড মানি করতে পারবে। আবার এই সেন্ড মানি করার ক্ষেত্রে প্রতিদিন আপনারা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পাঠাতে পারবেন। 

✓ একটি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট থেকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে এক মাসে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি করা যাবে। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট লিমিট

যেহেতু আপনারা বেশিরভাগ সময় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করবেন এ কারণে অবশ্যই বিকাশ mercent account ক্যাশ আউট লিমিট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। 

✓ প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করা যাবে একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে। 

✓ আবার এখানে একদিনে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করা যাবে। তবে আপনারা এক মাসে একটি মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে এজেন্ট একাউন্টে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করে ফেলতে পারবেন। 

বিকাশ মার্চেন্ট কমিশন

যদি আপনি বিকাশ mercent account ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এখানে কোন ধরনের এক্সট্রা কমিশন পাবেন না। এর কারণ হলো বিকাশ থেকেই আপনাকে এই মার্চেন্ট একাউন্ট দেওয়া হয়েছে এবং আপনি এখান আলাদা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। 

তবে হ্যাঁ যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট থেকে কমিশন পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে হবে এবং সেই এজেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। আশা করি বিকাশ মার্চেন্ট কমিশন সম্পর্কে আপনি যার ধারণা পেয়েছেন। 

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট টাকা পাঠানোর নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট থেকে অন্য কোন একাউন্টে টাকা পাঠাতে চাইলে আপনি বিকাশ মার্চেন্ট এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন আর এখান থেকে টাকা পাঠানো খুবই সহজ। 

আর যদি অন্য কোন একাউন্ট থেকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা পাঠাতে হয় তাহলে পেমেন্ট অপশন ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে হবে। অর্থাৎ পার্সোনাল একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাতে গেলে প্রথমে বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করতে হবে এবং তারপর পেমেন্ট অপশনে গিয়ে মার্চেন্ট নাম্বারটি বসিয়ে টাকা পাঠান যাবে। 

পরিশেষে

আশা করি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা পেয়েছেন । মানুষ অনলাইনে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে যে সমস্ত বিষয়গুলো জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করে থাকে তার সমস্ত বিষয়গুলো আমরা আজকের এই পোষ্টের মধ্যে আলোচনা নিয়ে এসেছি। 

এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত পড়ার পরেও যদি আপনাদের বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে অন্য কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করবেন সবাইকে ধন্যবাদ। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন